সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : খাদ্য এবং বাসস্থানের সংকটে হুগলীর রাজহাটের নীলকন্ঠী ময়ূরেরা। পোলবা থানার রাজহাট গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গান্ধীগ্রাম, চকপাড়া, চৌতাড়া, সাহেববাগান, ঝাপানডাঙ্গা প্রভৃতি গ্রাম জুড়ে রয়েছে ঝাকে ঝাকে ময়ূর। কুন্তী ও সরস্বতী এই দুই নদীর মাঝে থাকা বিশাল এলাকা জুড়ে ময়ূরের বসবাস। প্রাকৃতিক পরিবেশের কারনে এখানে ময়ূরের দল তাদের বাসস্থান গড়ে তুলেছে। কিন্তুু আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়ায় খাদ্য ও বাসস্থান নিয়ে ঘোর সংকটে ভারতের জাতীয় পাখীর দল। গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের সাধ্য মতো ময়ূরকে রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বহু বছর ধরে। কিন্তু তাদের নানা রখম সমস্যায় কারনে বিপাকে পড়েছে ময়ূরের দল। শুধু মাত্র সরকারি দেখভাল ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে গোটা রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ময়ূর- ময়ূরী উধাও হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসিরা। তাদের দাবী সরকার উদ্যোগ নিয়ে এখানকার ময়ূরকূলকে রক্ষা করুক। পাশাপাশি গান্ধীগ্রামের ময়ূরের বিচরণ ভূমির বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হোক পর্যটন কেন্দ্র এবং থাকবে বিধিনিষেধ। তাহলেই এখানকার বন্যপ্রান ও পরিবেশ দুই ই রক্ষা পাবে। যদিও স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন রাজহাটের নীলকন্ঠী ময়ূরকে বাঁচানোর পাশাপাশি এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য জেলাপ্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্যসরকারের কাছে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।