খাদ‍্য ও বাসস্থানের সংকটে নীলকন্ঠী ময়ূর : প্রশাসনিক উদ‍্যোগ এর দাবী

26th July 2021 1:13 pm হুগলী
খাদ‍্য ও বাসস্থানের সংকটে নীলকন্ঠী ময়ূর : প্রশাসনিক উদ‍্যোগ এর দাবী


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : খাদ‍্য এবং বাসস্থানের সংকটে হুগলীর রাজহাটের নীলকন্ঠী ময়ূরেরা। পোলবা থানার রাজহাট গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গান্ধীগ্রাম, চকপাড়া, চৌতাড়া, সাহেববাগান, ঝাপানডাঙ্গা প্রভৃতি গ্রাম জুড়ে রয়েছে ঝাকে ঝাকে ময়ূর।  কুন্তী ও সরস্বতী এই দুই নদীর মাঝে থাকা বিশাল এলাকা জুড়ে ময়ূরের বসবাস। প্রাকৃতিক পরিবেশের কারনে এখানে ময়ূরের দল তাদের বাসস্থান  গড়ে তুলেছে। কিন্তুু আধুনিক সভ‍্যতার ছোঁয়ায়  খাদ‍্য ও বাসস্থান  নিয়ে ঘোর সংকটে ভারতের জাতীয় পাখীর দল। গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের সাধ‍্য মতো ময়ূরকে রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বহু বছর ধরে। কিন্তু তাদের নানা রখম সমস্যায় কারনে বিপাকে পড়েছে ময়ূরের দল। শুধু মাত্র সরকারি দেখভাল ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে গোটা রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ময়ূর- ময়ূরী উধাও হয়ে যাওয়ার  আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসিরা। তাদের দাবী সরকার উদ‍্যোগ নিয়ে এখানকার ময়ূরকূলকে রক্ষা করুক। পাশাপাশি গান্ধীগ্রামের ময়ূরের বিচরণ ভূমির  বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হোক পর্যটন কেন্দ্র এবং থাকবে বিধিনিষেধ। তাহলেই  এখানকার বন‍্যপ্রান ও পরিবেশ দুই ই রক্ষা পাবে।   যদিও স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন রাজহাটের নীলকন্ঠী ময়ূরকে বাঁচানোর পাশাপাশি এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন‍্য জেলাপ্রশাসনের মাধ্যমে রাজ‍্যসরকারের কাছে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।